প্রফেসর ড. আনোয়ারা বেগম চেয়ারপার্সন, ইবরাহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, মুন্সিগঞ্জ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ০৫ সেপ্টেম্বও, ২০০৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুন্সিগঞ্জের নয়গাঁও-এ প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অনুমোদন সাপেক্ষে ঢাকা থেকে ২৫ কি. মি. দূরে অত্যন্ত নান্দনিক পরিবেশে মুন্সিগঞ্জ জেলার নয়াগাঁও-এ ধলেশ্বরী নদীর তীওে ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২০২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু কওে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। চমৎকার অবকাঠামোগত স্বতন্ত্রধর্মী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ১৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে ৩য় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ভার্সনে পড়ার সুযোগ আছে এবং প্রভাতি ও দিবা দুটি শিফ্ট রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ সভাপতি এবং সেনাবাহিনীর এডুকেশন কোর এর একজন কর্মকর্তা অধ্যক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
এ প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত দিকটি সত্যিই চমৎকার। চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনে রয়েছে ৩৩টি কক্ষ,৪টি বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি,১টি লাইব্রেরি,১টি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, ভূগোল ল্যাবরেটরি,১টি কনভারেন্স রুম, অধ্যক্ষের কক্ষসহ ৩টি অফিস কক্ষ, ৩টি শিক্ষক কমনরুম এবং ২টি মাল্টিমিডিয়া কক্ষ। একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি উন্নতমানের খাবার, প্রিপারেটরি ক্লাসের সুবিধা, ২৪ ঘন্টা শিক্ষকদেও তত্ত্বাবধান, ধুপি ও খেলাধুলাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০০ আসন বিশিষ্ট পৃথক দুটি আবাসিক হোস্টেল রয়েছে। আরও রয়েছে দ্বিতল ভবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিফলিত ব্যতিক্রমধর্মী শহিদ মিনার। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি একটি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে ১টি বড় আম বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর বৃক্ষ ও ঋতু ভেদে চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। সবকিছু মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিরল।
জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি-তে ড. ইয়াজউদ্দিন কলেজ ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে আসছে। আমাদের সফলতার এ ধারাকে অব্যাহত রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্লাস, জটিল বিষয়গুলোর জন্য গ্রুপভিত্তিক শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকগণের তত্ত্বাবধানে রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদেও পাশাপাশি অভিভাবকগণের চেষ্টা ও সচেতনতা বৃদ্ধিও জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর মেধা তালিকা অনুযায়ী বিগত ৩ বছর যাবৎ আমরা জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে আসছি।
২০১৬ সালে জে.এস.সি পরীক্ষায় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি প্রাপ্তি।
২০১৬ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় ৯৩ জনের মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি।
উল্লেখ্য বিজ্ঞান বিভাগের ৫১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এই প্রতিষ্ঠানটি ফলাফল ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই আমাদের কলেজটি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে।
নাম | ক্যাটাগরি | পদবী |
---|---|---|
মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার | জেলা প্রশাসক, মুন্সীগঞ্জ | সভাপতি |
মেজর মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান | অধ্যক্ষ, অত্র প্রতিষ্ঠান | সদস্য সচিব |
প্রফেসর মোহাম্মদ আঃ হাই তালুকদার | অধ্যক্ষ, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ | সদস্য |
আব্দুল মোমেন, পিপিএম | পুলিশ সুপার, মুন্সীগঞ্জ | সদস্য |
দীপক কুমার রায় | অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মুন্সীগঞ্জ। | সদস্য |
ডা. আবুল কালাম আজাদ | সিভিল সার্জন, মুন্সীগঞ্জ | সদস্য |